Sunday, 28 July 2019

সেবার আলো ছড়াতে রংপুরে এবার কিশোরগঞ্জের সন্তান এসপি বিপ্লব সরকার।


শনিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে রংপুর পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি  বলেন, ‘গণমাধ্যম কর্মীরা সমাজের থার্ড আই। তৃতীয় নয়ন যা দেখে, তা আমাদেরও অনেক সময় অজানা থাকে। তবে পুলিশ ও সাংবাদিকের কাজ ও সম্পর্কটা সমাজ, দেশ ও মানুষের ভালোর জন্য। আমরা যেমন অপরাধমুক্ত সমাজ চাই সাংবাদিকরাও তাই চান।’
মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি কার্যকর করতে রংপুর জেলা পুলিশ অপরাধীদের কোনো ছাড় দেবে না বলেও ঘোষণা দেন তিনি।
সদ্য যোগদান করা নতুন এই পুলিশ সুপার বলেন, ‘অপরাধীর আলাদা কোনো পরিচয় থাকতে পারে না। অপরাধীর পরিচয় অপরাধী। সমাজ ও দেশের শত্রু তারা। তাই অপরাধীদের েেকো দল-মত থাকতে নেই।’
আসন্ন ঈদুল আজহায় জেলার কোরবানির পশুর হাটগুলো অজ্ঞান পার্টি, দালাল চক্র ও জাল টাকার কারবারি প্রতারক চক্রের তৎপরতা রোধে পুলিশ সক্রিয় দায়িত্ব পালন করবে বলেও জানান তিনি।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও অত্যন্ত সফলতার পরিচয় দিয়ে তেজগাঁও বিভাগ পুলিশকে পরিচালনায় উপ-কমিশনারের (ডিসি) দায়িত্ব পালন করে প্রায় নিয়মিত শ্রেষ্ঠ ডিসির পুরস্কার জিতেছিলেন বিপ্লব কুমার সরকার। যা একটি বিরল ঘটনা।রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি দুই বার পুলিশের সর্বোচ্চ পদক বিপিএম ও একবার পিপিএম পেয়েছেন। এর মধ্যে তিনি ২০১৪ সালে পিপিএম, ২০১৬ সালে বিপিএম এবং ২০১৮ সালে তিনি আবারো বিপিএম পদক পেয়েছেন।ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) আটটি বিভাগে বিভক্ত। এরমধ্যে অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ তেজগাঁও। ডিসি বিপ্লব কুমার সরকার গত ২০১৩ সালের ৭ এপ্রিল থেকে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে নিজের দায়িত্ব পালন ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাসহ অপরাধ নিয়ন্ত্রণে অবদান রেখেছেন।পেশাগত মর্যাদার কারণে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্মকর্তাদের মধ্যে তাকে বলা হতো সেরাদের সেরা।
ইতিমধ্যে ঢাকার মতো রংপুরের হৃদয় জয় করে ফেলেছেন, সবাইকে ভালোবাসা দিয়ে জয় করে ইতিমধ্যেই তিনি,
বাংলাদেশ পুলিশ রংপুর রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ পুলিশ সুপার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন রংপুর জেলার পুলিশ সুপার।  শ্রেষ্ঠ পুলিশ সুপারের সম্মাননা স্মারক গ্রহণ করেন সদ্য যেগদানকৃত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার।
গত জুন মাসের অপরাধ পরিস্থিতি, গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনাসহ আইন-শৃঙ্খলা ও অপরাধ বিষয়ক মাসিক অপরাধ ও আইন-শৃঙ্খলা পর্যালোচনা সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।  তাঁকে সম্মাননা স্মারক হিসেবে ক্রেস্ট তুলে দেন রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য্য।

Saturday, 27 July 2019

শুভ জন্মদিন আগামীর লিডার সজীব ওয়াজেদ জয়।


তানভীর হাসান নাবিল।

 ডিজিটাল বাংলাদেশ একটি স্বপ্নের নাম। অনেক কটাক্ষ, বক্রোক্তি আর সমালোচনার মধ্যেই এ স্বপ্নের জন্ম। সেই স্বপ্ন এখন বাস্তবে রূপ পেয়েছে। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার এক অনন্য পদক্ষেপ হলো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ কনসেপ্ট। এটি বাস্তবায়িত হয়েছে স্বপ্নদ্রষ্টা হলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তনয় সজীব ওয়াজেদ জয়। ২৭ জুলাই তার জন্মদিন। এদিনে তাকে জানাই জন্মদিনের অনিঃশেষ শুভেচ্ছা।
তথ্য-প্রযুক্তির বিশ্বে বাংলাদেশ দীর্ঘদিন পেছনের সারিতে ছিল। সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে প্রযুক্তি নিয়ে বৃহৎ পরিসরে কাজ করার কথা দশ বছর আগেও কেউ ভাবেনি। ২০০৮ সালে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গঠনের প্রস্তাব রাখেন আমাদের প্রাণপ্রিয় নেতা সজীব ওয়াজেদ জয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ কনসেপ্টটি নির্বাচনী ইশতেহারভুক্ত করে আওয়ামী লীগ। এই প্রস্তাবনাটি কেবল বাংলাদেশের জন্য যুগান্তকারী সিদ্ধান্তই ছিল না, এটি ছিল বিশ্বের সঙ্গে সমানতালে এগিয়ে চলার অনন্য এক অভিযাত্রা।
সার্বিকভাবে বাংলাদেশকে প্রযুক্তিনির্ভর করতে সজীব ওয়াজেদ জয়ের অবদান অনস্বীকার্য। দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে হাইটেক পার্ক নির্মাণ, ফোর-জি চালু, ইন্টারনেটের দাম কমানো, কম্পিউটারের শুল্কমুক্ত আমদানি, ফ্রিল্যান্সিংয়ে উৎকর্ষ, বিভিন্ন দাপ্তরিক কাজ অনলাইনে করাসহ বিভিন্ন নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে জয় উদ্যোগী ভূমিকা রেখেছেন। প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের কারণে তথ্যপ্রাপ্তি এখন অনেক সহজ হয়েছে। সম্প্রতি এক বক্তব্যে জয় বলেছেন, দেশের সরকারি যত সেবা আছে, তা দেশের সব মানুষের হাতের মধ্যে পৌঁছে দেব। ঘরে ঘরে পৌঁছে দেব। দেশের মানুষকে আর সরকারি দপ্তরে আসতে হবে না। এটাই হচ্ছে আমাদের স্বপ্ন। ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন।’ এ বছর মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। সরকার এখন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণের প্রকল্প হাতে নিয়েছে। কয়েক বছর আগেও এটি ছিল স্বপ্নের মতো। স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিয়ে বর্তমানে রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ। বাংলাদেশকে তথ্যপ্রযুক্তিতে বৈশ্বিকভাবে এগিয়ে নেওয়ার জন্য যৌবনের দূত জয়কে আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানাই।
সজীব ওয়াজেদ আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ কোনো দলীয় পদে নেই। অথচ তিনি চাইলেই দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত হতে পারতেন। এ থেকেই বোঝা যায়, জয় পদকে মুখ্য করে দেখেন না। তিনি মানুষের পাশে থাকা ও মানুষের জন্য কাজ করাকে মুখ্য করে দেখেন। তিনি প্রমাণ করলেন কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদে না থেকেও দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করা যায়। স্বভাবতই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তার রক্তে মিশে আছে। প্রায় প্রতিটি বক্তব্যে জয় শ্রোতাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অক্ষুণ্ণ রাখার কথা বলেন। তিনি বলেন, স্বাধীনতার চেতনা কোনোদিন ভুলবেন না। ভুলতে দেবেন না। আর কাউকে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেবেন না। এমন মিথ্যা প্রচারের সুযোগ দেবেন না, যাতে জাতি শহীদদের ভুলে যায় এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত হয়। জয় বলেন, দেশের মানুষের সেবা করাই সরকারের মূল উদ্দেশ্য। বিশেষ কোনো শ্রেণির উন্নয়নের রাজনীতিতে তিনি বিশ্বাসী নন। সব শ্রেণি-পেশার মানুষের উন্নয়নের রাজনীতির কথা বলেন তিনি। এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের মেধা আছে, ঐতিহ্য আছে, শিক্ষা আছে আমাদের চুরি করার প্রয়োজন নেই।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসূরি তার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্র পরিচালনা, নেতৃত্বে দক্ষতা, মানবিকতায় তার যোগ্যতা বাংলাদেশ তো বটেই, সারাবিশ্বেই প্রতিষ্ঠিত। সজীব ওয়াজেদ জয় হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য উত্তরসূরি। মায়ের অবসরকালে তিনিই হবেন দল ও দেশের কাণ্ডারি। পারিবারিক ঐতিহ্যের কারণে তার মধ্যে স্বভাবসুলভ নেতৃত্বের গুণ রয়েছে। ২০০৭ সালে তিনি নেতৃত্বের জন্য ‘ইয়ং গ্লোবাল লিডার’ নির্বাচিত হন। তার রাজনৈতিক জীবন দীর্ঘ না হলেও এ দেশের রাজনীতি সম্পর্কে তার জ্ঞান কম নয়। তিনি বিএনপি-জামায়াতের চক্রান্ত ও তথ্যসন্ত্রাস বিষয়গুলো সহজে ধরতে পেরেছেন। বিশেষ করে আওয়ামী লীগকে নিয়ে করা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে তিনি শক্তিশালী অবস্থান নেন। নেতাদেরও অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র রুখতে সচেতন হওয়ার জোর তাগিদ দেন। কারণ তিনি জানেন, অপপ্রচার রুখতে না পারলে সরকারের কর্মকাণ্ড সাধারণ মানুষের কাছে গুরুত্বহীন হয়ে পড়বে। তাই তিনি মনে করেন, জনগণকে কেউ যাতে বিভ্রান্ত করতে না পারে সে জন্য নেতাকর্মীকে অপপ্রচারের জবাব দিতে হবে এবং সরকারের সফলতা জনগণের কাছে বারবার তুলে ধরতে হবে। মানুষের ভুল ধারণাগুলো ভাঙতে হবে। সরকারের উন্নয়নগুলোর ব্যাপক প্রচার ও মাধ্যম হিসেবে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে।
যৌবনের জয় সর্বত্র। বাংলাদেশের রাজনীতিতে সজীব ওয়াজেদ জয় যৌবনের প্রতিনিধিত্ব করছেন। তিনি তারুণ্যের চাহিদা ও স্বপ্নের কথা বুঝতে পারেন। অন্যদিকে জয় তাদের সমকালীন হওয়ায় যুবক ও তরুণরা তার কর্মকাণ্ডে আগ্রহী ও উৎসাহী। আপামর মানুষ তাকে নেতা হিসেবে দেখতে উৎসুক হয়ে আছে। জয় আওয়ামী লীগের হয়ে সংসদ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুক এটি এখন জনতার দাবি। তারা চান জয় বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে সহযোগিতা করুক। জনগণের প্রত্যাশার কথা আওয়ামী লীগ বিবেচনা করবে বলে আমার দৃঢ়বিশ্বাস।
১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জ্যেষ্ঠ সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্ম। স্বাধীনতা যুদ্ধের বছরে জন্মেছেন বলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার দৌহিত্রের নাম রেখেছিলেন জয়। কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোকপ্রশাসন বিষয়ে তিনি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে জয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন। জয়ের কর্মে আজকের বাংলাদেশ যেন সর্বত্র জয়ময়। মহাকাশে জয়, তথ্য ও প্রযুক্তিতে জয় এবং সুন্দর একটি আগামীর নাম জয়। বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র জয় একদিন বরেণ্য রাজনীতিবিদ হয়ে পৃথিবী জয় করবেন, আজ তার জন্মদিনে আমাদের এই প্রত্যাশা ও শুভকামনা রইল।

Tuesday, 23 July 2019

একজন শাহে আলম মুরাদ।



স্টাফ রিপোর্টার- তানভীর হাসান নাবিল


বঙ্গবন্ধুর  আদর্শের সৈনিক, জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত হাতিয়ার, 
উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব শাহে আলম মুরাদ । ছাত্র রাজনীতি থেকে জাতীয় রাজনীতির গুরুত্বপূর্ন স্থানে জায়গা করে নিয়েছেন নিজের কর্মদক্ষতা ও সুদৃঢ় নেতৃত্বের মাধ্যমে। ছাত্র জীবনেই শাহে আলম  এর নেতৃত্বের বিকাশ ঘটে। ঐতিহাসিক ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, অবিভক্ত ঢাকা মহানগরের সাধারন সম্পাদক ছিলেন । শাহে আলম মুরাদের  সাংগঠনিক দক্ষতা আর ক্যারিশমার কারণেই সে সময়ে  বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সংগঠন ঢাকা মহানগর  ছাত্রলীগ হয়ে উঠে জনপ্রিয় সংগঠনে।  ছাত্রনেতা থেকে গণমানুষের নন্দিত নেতায় পরিণত হয়েছেন দীর্ঘ ত্যাগ আর কর্মীদের ভালোবাসার কারণেই।

আলহাজ্ব শাহ আলম মুরাদ ছাত্র জীবন থেকেই রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর, ৭৫ পরবর্তী সময়ে, যাদের হাতে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব ছিল, শাহ আলম মুরাদ ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম, ছাত্র রাজনীতির জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন।  75 পরবর্তী সময়ে, যখন কেউ ছাত্রলীগ করার সাহস পেত না, ঐ সময় তিনি ছাত্রলীগের নীতিনির্ধারক ছিলেন, এজন্য তাকে অনেক রোষানলে পড়তে হয়েছে, হয়েছেন অনেক ষড়যন্ত্রের শিকার, হামলা, মামলা ছিল তার নিত্যদিনের সঙ্গী। এরপর আস্তে আস্তে রাজনীতির চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে,  তিনি অভিভক্ত ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন।  তিনি যখন মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, এখন সারাদেশে এরশাদ  বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়, তিনি এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে, সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন। এ সময় তিনি  হামলার শিকার হন, আর মামলা ছিল   নিত্যদিনের সঙ্গী। এসময় এরশাদ বিরোধী আন্দোলন করার জন্য, তিনি বেশ কয়েকবার জেলও খেটেছেন। 
এরপর কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাথে যুক্ত ছিলেন অনেকদিন, রাজপথে থেকে লড়াই-সংগ্রাম করেছেন।
এরপর আস্তে আস্তে যোগ দেন  আওয়ামী লীগের সাথে, রাজপথে লড়াই সংগ্রাম, ত্যাগ তিতিক্ষার পুরুষ্কারকার স্বরুপ,  অভিভক্ত ঢাকা মহানগর  আওমীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন।
১/১১ তে  দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, দলের যখন দুঃসময়,তিনি তখন রাজপথে সামনে থেকে লড়েছেন, নেত্রী  মুক্তি আন্দোলনে প্রথম ঢাকার জজ কোর্ট থেকে যে মিছিল হয়েছিল,  তিনি তার সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, ফলে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার ১ নাম্বার আসামি ছিলেন তিনি।
এরপর 2016 সালে ঢাকা মহানগর বর্তমানে তিনি দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।  
তিনি বর্তমানে ঢাকার প্রতিটি ওয়ার্ডে, প্রতিটি ইউনিয়নে প্রতিটি ইউনিটে, প্রতিটি থানায় অনেক জনপ্রিয়, জনবান্ধব নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে তুলেছেন।


তিনি একজন সাদা মনের মানুষ, পরোপকারী, যিনি প্রতিহিংসার রাজনীতি করেননা। যিনি ভালবাসা দিয়ে  জনতার  আশার-আকাঙ্খার প্রদীপ হয়েছেন। যিনি মেহনতী ও শ্রমজীবি খেটে খাওয়া সাধারণ নিরীহ মানুষের সুখ-দুঃখের সর্বসময়ের সাথী। দিন-রাত নিজের আরাম-আয়েশকে বিসর্জন দিয়ে বিশ্ব সেরা প্রধানমন্ত্রী ও বাংলার গরীব দুঃখী মানুষের প্রাণের নেত্রী দেশরত্ন  জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে  জনতার দোয়ারে দোয়ারে গিয়ে  সাধারণ মানুষের মন জয় করে নিয়েছেন।

তিনি ছাত্রনেতা থেকে আজ জননেতা,
বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বলিয়ান নন্দিত একজন এ ছাত্রনেতা তার কাজে কর্মে, মেধা, প্রজ্ঞায়, মননশীলতায়, নিষ্ঠা- সততা ও উদারতায় এবং কর্মীদের সুখে দু:খে সুলভ আন্তরিকতায় ও ভালবাসায় জয় করে নিয়েছেন হাজারো সাধারণ -কর্মীর হৃদয়। দক্ষ সংগঠক হিসেবে তার পরিচিতি রয়েছে সর্ব মহলেই।
সবসময়ই তিনি সুখে-দু:খে সাধারণ মানুষের পাশে এসে উদারচেতা হয়ে দাঁড়িয়েছেন মানবতার অগ্রদূত হয়ে। মাদকমুক্ত  সমাজ বিনির্মাণে ন্যায় প্রতিষ্ঠা এবং বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদি কন্ঠস্বর। আর তাইতো প্রতিটি নেতাকর্মী তাকে ভাবেন আপন ভাইয়ের থেকেও বেশি ।
শাহে আলম মুরাদ এর 

তুমুল জনপ্রিয়তার কারণ জানতে চাওয়া হয়েছিলো কয়েকজন  কর্মীর কাছে। এর মধ্যে ২০  নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খায়রুজ্জামান ফারুক বলেন, মুরাদ ভাই কর্মীদের সমস্যায় পাশে দাঁড়ান নি:স্বার্থভাবে। মানবিক কাজে তিনি নিয়োজিত থাকেন সর্বদাই। তিনি একজন পরিশ্রমী ও কর্মীবান্ধব নেতা। আপোসহীন ও ফ্রেশ ইমেজের অধিকারী তিনি। কট্টরপন্থি আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান হিসেবে শেখ হাসিনার প্রতিটি আদেশ পালনে সচেষ্ট থাকেন সবসময়। তাই তিনি যতদিন বেঁচে থাকবেন, পদে না থাকলেও তিনি থাকবেন কর্মীদের হৃদয়ে।

তিনি আরো বলেন, নেতা হওয়া সহজ, কিন্তু জননেতা হওয়া সহজ নয়। মুরাদ ভাই প্রবলভাবে একজন সাংগঠনিক নেতা।





Monday, 22 July 2019

একজন বিপ্লব কুমার সরকার।

একজন ডিসি বিপ্লব কুমার সরকার, তিনি বাংলাদেশ পুলিশের তেজগাঁও জোনের ডিসি, তার ডিসি পরিচয়কে ছাপিয়ে, সব থেকে বড় পরিচয়, তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্রনেতা, তিনি জগন্নাথ হল ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। দলের দুঃসময়ে, সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, লড়াই সংগ্রামে তিনি ছিলেন মিছিলের অগ্রভাগে।
ডিসি বিপ্লব কুমার এর জন্ম কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার খরমপট্টিতে। তিনি কিশোরগঞ্জ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস এস সি ও গুরুদয়াল সরকারি কলেজ থেকে কৃতিত্বের সহিত এইচএসি সি পাশ করেন। ছোটবেলা থেকেই বঙ্গবন্ধুর প্রতি তার ছিল অন অসীম দুর্বলতা, তাই কলেজ জীবনে বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসে ছাত্ররাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন মেধাবী, স্কুল কলেজ জীবনের গণ্ডি পেরিয়ে, প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত, রাজনীতির প্রাণকেন্দ্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হোন।তার রাজনীতির জন্য আবার প্রাণ ফিরে পায়, এরপর রাজপথে সামনে থেকে, লড়াই সংগ্রাম করে ১৯৯৪ সালে জগন্নাথ হল ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন। দলের দুঃসময়ে, আওয়ামীলীগের জন্য নিবেদিত প্রাণ এই অকুতোভয় সৈনিক জেলও খেটেছেন বেশ কয়েকবার।



চাকরি জীবনে প্রবেশ করেন ২১ তম বিসিএস এর মাধ্যমে, তিনি প্রথম জয়নিং করেন মোহাম্মদপুর জোনের এএসপি হিসেবে, এরপর আস্তে আস্তে চড়াই-উৎরাই পার হয়ে, তিনি তেজগাঁও জোনের ডিসি হন। তিনি পুলিশের ইতিহাসের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ 24 বার শ্রেষ্ঠ ডিসি হিসেবে খেতাব পান। বিপ্লব কুমার সরকার ২০১৩ সালের ৭ এপ্রিল থেকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) হিসেবে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে নিজের দায়িত্ব পালন ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাসহ অপরাধ নিয়ন্ত্রণে অবদান রেখে রেকর্ড সংখ্যক ২৪ বার শ্রেষ্ঠ উপ-কমিশনার (ডিসি) হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছেন।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও অত্যন্ত সফলতার পরিচয় দিয়ে তেজগাঁও বিভাগ পুলিশকে পরিচালনায় উপ-কমিশনারের (ডিসি) দায়িত্ব পালন করে প্রায় নিয়মিত শ্রেষ্ঠ ডিসির পুরস্কার জিতেছেন বিপ্লব কুমার সরকার। যা একটি বিরল ঘটনা।রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি দুই বার পুলিশের সর্বোচ্চ পদক বিপিএম ও একবার পিপিএম পেয়েছেন। এর মধ্যে তিনি ২০১৪ সালে পিপিএম, ২০১৬ সালে বিপিএম এবং ২০১৮ সালে তিনি আবারো বিপিএম পদক পেয়েছেন।ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) আটটি বিভাগে বিভক্ত। এরমধ্যে অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ তেজগাঁও। ডিসি বিপ্লব কুমার সরকার গত ২০১৩ সালের ৭ এপ্রিল থেকে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে নিজের দায়িত্ব পালন ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাসহ অপরাধ নিয়ন্ত্রণে অবদান রেখেছেন।পেশাগত মর্যাদার কারণে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্মকর্তাদের মধ্যে তাকে বলা হয় সেরাদের সেরা।
তিনি শুধু পুলিশের গণ্ডির মধ্যে, নিজেকে আটকে রাখেন নি, সামাজিক কাজের সাথে নিজেকে জড়িয়ে নিয়েছিলেন।
নিজের পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ‘বঙ্গবন্ধু পাগল’ অসাধারণ এবং বিশেষ বৈশিষ্ট্যের অধিকারী মানুষটি নিয়েছিলেন বিশেষ এক উদ্যোগ। দেশ ও দেশের মানুষের জন্য
বঙ্গবন্ধুর ভাবনা-দর্শন এবং ওই সময়ে বঙ্গবন্ধুর কারা জীবনের দিনলিপি নিয়ে বাংলা একাডেমি’র প্রকাশিত ‘কারাগারের রোজনামচা’ বইটিতে বিশেষ নজর দিয়েছিলেন এ পুলিশ কর্মকর্তা।
তাঁর নিজের ভাবনা আর স্বপ্ন থেকেই ‘কারাগারের রোজনামচা’ বইটি নিয়ে অনন্য এক উদ্যোগ নিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের এ উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি)।
বঙ্গবন্ধু রচিত এ বইটির ওপর কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিলেন তিনি।



সুবিধাবঞ্চিত অসহায় শিশুদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য অন্যতম একজন মানুষ উপ-কমিশনার (ডিসি) বিপ্লব কুমার সরকার।শতাধিক শিশুদের নিয়ে ইফতার ও বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন তিনি।
তিনি মানুষ হিসেবে কতটা ভালো, তা নিচের চিঠিটাতেই বুঝা যায়।
‘খুব খুশী হবো যদি আপনি আমাদের সাথে একদিন ইফতার খান’
………………………………………………………………………..
প্রিয় ডিসি স্যার,
আমার সালাম নিবেন। আশাকরি ভালো আছেন। আমি জহুরী মহললা পোড়া বস্তিতে থাকি। আমি ছায়াতল বিদ্যাপীঠে চতুর্থ শ্রেনীতে পড়ি। আমি বড় হয়ে পুলিশ হতে চাই। খুব খুশী হবো যদি আপনি আমাদের সাথে একদিন ইফতার খান। ঈদ মোবারক।
আমার নাম বর্ষা আক্তার
শ্রেনী: ৪র্থ
রোল: ৬

পরে তিনি ওদের জন্য ইফতারের আয়োজন করেন, ইফতার উপলক্ষ্যে এই শিশুদের জন্য নানান রকমের খাবার ও ফল, জুস এর ব্যবস্থা করেছিলেন তিনি, ইফতার শেষে এই হত দরিদ্র শিশুদের মাঝে তিনি ঈদের নতুন জামা কাপড়, ঈদ বকশিস হিসেবে নতুন টাকা সহ বিভিন্ন রকমের উপকরণ উপহার বিতরন করেছিলেন তিনি।



বহুল আলোচিত শিশু হাসপাতালে ওয়াশরুমে পাওয়া শিশু ‘গহীনের ‘ দায়িত্ব নিয়েছিলেন বিপ্লব কুমার সরকার, পরে তিনি তাকে ছোটমনি নিবাসের তত্তাবধায়কের কাছে হস্তান্তর করেছিলেন।
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে, কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিলেন তিনি।
গত ১৩.০৪.২০১৯ ইং তারিখ রাত ১১.২১ ঘটিকায় তৃষা (ছদ্মনাম) নামের Ahsanullah University Of Science And Technology (AUST) একজন ছাত্রী তার সাথে ঘটে যাওয়া একটি অনাকাংক্ষিত ঘটনা নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন,পরে ডিসি বিপ্লব কুমার এর তত্ত্বাবধানে ঐ ব্যক্তি কে গ্রেফতার করা হয়।
টাঙ্গাইল থেকে আসা ১০০ ছোট্ট শিশুকে নিয়ে সত্যিকার অর্থে ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন, ডিসি বিপ্লব কুমার সরকার। সুবিধাবঞ্চিত এই শিশুদের নিয়ে ঘুরে ঘুরে দেখিয়েছিলেন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি জাদুঘর। জাতির এই সূর্যসন্তান সম্পর্কে জানিয়েছিলেন ওদের। এমন দিন ওদের জীবনে আর কখনও আসবেনা। হয়ত ছোট্ট এই শিশুদের স্মৃতিতে থেকে যাবে এমন সুন্দর দিন।
বাইক চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করা, শাহাজান সরকারের একমাত্র বাইক টি ডাকাতি হয়ে গেলে,বিপ্লব কুমার সরকারের সরাসরি হস্তক্ষেপে, বাইকটি কে উদ্ধার করা হয়েছিল। এ নিয়ে শাহজাহান সরকার একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন।
ফেসবুকে বহুল আলোচিত, শাহনাজের স্কুটি এর কথা মনে আছে?
তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকারের সরাসরি হস্তক্ষেপে শাহনাজের চুরি হয়ে যাওয়া বাইকটি মাত্র ১২ ঘন্টার মধ্যে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছিল শেরে বংলানগর থানা পুলিশ।
মা বাবা ভাই বোন আশা ছেড়ে দিয়েছিল, কিন্তু আশা ছাড়েননি বিপ্লব কুমার সরকার, দুই বছর পর হারিয়ে যাওয়া শিশু সজিব কে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন মা বাবার কোলে।

জনবান্ধব ও জনপ্রিয় এই কর্মকর্তাকে রংপুর জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) হিসেবে বদলির আদেশ জারি করা হয়েছে।গত ১৩ জুন রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ অধিশাখার উপসচিব মোহাম্মদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই বদলির আদেশ জারি হয়। বদলির বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর থেকেই ঝড় ওঠে সোশ্যাল মিডিয়ায়।বিপ্লব কুমার সরকার এর বদলির আদেশ প্রত্যাহারের আকুতি জানিয়েছেন সর্বস্তরের জনসাধারণ। নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ নানা ভাবে নিজেদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।দুই একদিনের মধ্যেই এই জোনের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেবেন, অব্যাহতি নেয়ার আগে এই জোনকে বরাবরের মতোই নাম্বার ওয়ান জোন বানিয়েই বিদায় নিচ্ছেন স্মার্ট পুলিশিং এর সুপার হিরো ডিসি বিপ্লব কুমার সরকার।
২৪ বার ঢাকা মেট্রোপলিটনের শ্রেষ্ঠ ডিসি উপাধি সফলতার পালকে লাগিয়ে রংপুরের পথে পাড়ি দেবেন ২৪ তারিখ, ইতিমধ্যে ১৪ তারিখ তিনি তেজগাঁ জোনের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন, চলে যাবেন দুই দিন পর, প্রাণপ্রিয় তেজগাঁ ছেড়ে।  তবুও চলতে হবে, ভালোবাসার অঞ্জলি মাখিয়ে নীলবিষ হজম করতেই হবে!!আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে শেখ হাসিনার ভ্যানগার্ডরূপে ছাত্রলীগের যে বিপ্লব কুমার সরকারের বেড়ে উঠা, ৫৬ হাজার বর্গমাইলের সবটুকুই তাকে বরণ করে নেবে!” ছেলের মতো।
বিপ্লব সরকার সমগ্র দেশ ও জাতির অমূল্য সম্পদ। এই জাতি যদি ডিসি বিপ্লবের মতো আরো কয়েক জন ন্যায় ও সাহসী অফিসার পেত, তাহলে দেশ আরো বহুগুণ এগিয়ে যেত, যেমনটা স্বপ্ন দেখেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সবশেষে একটা কথাই বলবো,

যেতে নাহি দিব হায় , তবু যেতে দিতে হয়,  তবু চলে যায়😥