Tuesday, 23 July 2019

একজন শাহে আলম মুরাদ।



স্টাফ রিপোর্টার- তানভীর হাসান নাবিল


বঙ্গবন্ধুর  আদর্শের সৈনিক, জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত হাতিয়ার, 
উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব শাহে আলম মুরাদ । ছাত্র রাজনীতি থেকে জাতীয় রাজনীতির গুরুত্বপূর্ন স্থানে জায়গা করে নিয়েছেন নিজের কর্মদক্ষতা ও সুদৃঢ় নেতৃত্বের মাধ্যমে। ছাত্র জীবনেই শাহে আলম  এর নেতৃত্বের বিকাশ ঘটে। ঐতিহাসিক ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, অবিভক্ত ঢাকা মহানগরের সাধারন সম্পাদক ছিলেন । শাহে আলম মুরাদের  সাংগঠনিক দক্ষতা আর ক্যারিশমার কারণেই সে সময়ে  বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সংগঠন ঢাকা মহানগর  ছাত্রলীগ হয়ে উঠে জনপ্রিয় সংগঠনে।  ছাত্রনেতা থেকে গণমানুষের নন্দিত নেতায় পরিণত হয়েছেন দীর্ঘ ত্যাগ আর কর্মীদের ভালোবাসার কারণেই।

আলহাজ্ব শাহ আলম মুরাদ ছাত্র জীবন থেকেই রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর, ৭৫ পরবর্তী সময়ে, যাদের হাতে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব ছিল, শাহ আলম মুরাদ ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম, ছাত্র রাজনীতির জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন।  75 পরবর্তী সময়ে, যখন কেউ ছাত্রলীগ করার সাহস পেত না, ঐ সময় তিনি ছাত্রলীগের নীতিনির্ধারক ছিলেন, এজন্য তাকে অনেক রোষানলে পড়তে হয়েছে, হয়েছেন অনেক ষড়যন্ত্রের শিকার, হামলা, মামলা ছিল তার নিত্যদিনের সঙ্গী। এরপর আস্তে আস্তে রাজনীতির চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে,  তিনি অভিভক্ত ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন।  তিনি যখন মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, এখন সারাদেশে এরশাদ  বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়, তিনি এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে, সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন। এ সময় তিনি  হামলার শিকার হন, আর মামলা ছিল   নিত্যদিনের সঙ্গী। এসময় এরশাদ বিরোধী আন্দোলন করার জন্য, তিনি বেশ কয়েকবার জেলও খেটেছেন। 
এরপর কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাথে যুক্ত ছিলেন অনেকদিন, রাজপথে থেকে লড়াই-সংগ্রাম করেছেন।
এরপর আস্তে আস্তে যোগ দেন  আওয়ামী লীগের সাথে, রাজপথে লড়াই সংগ্রাম, ত্যাগ তিতিক্ষার পুরুষ্কারকার স্বরুপ,  অভিভক্ত ঢাকা মহানগর  আওমীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন।
১/১১ তে  দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, দলের যখন দুঃসময়,তিনি তখন রাজপথে সামনে থেকে লড়েছেন, নেত্রী  মুক্তি আন্দোলনে প্রথম ঢাকার জজ কোর্ট থেকে যে মিছিল হয়েছিল,  তিনি তার সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, ফলে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার ১ নাম্বার আসামি ছিলেন তিনি।
এরপর 2016 সালে ঢাকা মহানগর বর্তমানে তিনি দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।  
তিনি বর্তমানে ঢাকার প্রতিটি ওয়ার্ডে, প্রতিটি ইউনিয়নে প্রতিটি ইউনিটে, প্রতিটি থানায় অনেক জনপ্রিয়, জনবান্ধব নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে তুলেছেন।


তিনি একজন সাদা মনের মানুষ, পরোপকারী, যিনি প্রতিহিংসার রাজনীতি করেননা। যিনি ভালবাসা দিয়ে  জনতার  আশার-আকাঙ্খার প্রদীপ হয়েছেন। যিনি মেহনতী ও শ্রমজীবি খেটে খাওয়া সাধারণ নিরীহ মানুষের সুখ-দুঃখের সর্বসময়ের সাথী। দিন-রাত নিজের আরাম-আয়েশকে বিসর্জন দিয়ে বিশ্ব সেরা প্রধানমন্ত্রী ও বাংলার গরীব দুঃখী মানুষের প্রাণের নেত্রী দেশরত্ন  জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে  জনতার দোয়ারে দোয়ারে গিয়ে  সাধারণ মানুষের মন জয় করে নিয়েছেন।

তিনি ছাত্রনেতা থেকে আজ জননেতা,
বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বলিয়ান নন্দিত একজন এ ছাত্রনেতা তার কাজে কর্মে, মেধা, প্রজ্ঞায়, মননশীলতায়, নিষ্ঠা- সততা ও উদারতায় এবং কর্মীদের সুখে দু:খে সুলভ আন্তরিকতায় ও ভালবাসায় জয় করে নিয়েছেন হাজারো সাধারণ -কর্মীর হৃদয়। দক্ষ সংগঠক হিসেবে তার পরিচিতি রয়েছে সর্ব মহলেই।
সবসময়ই তিনি সুখে-দু:খে সাধারণ মানুষের পাশে এসে উদারচেতা হয়ে দাঁড়িয়েছেন মানবতার অগ্রদূত হয়ে। মাদকমুক্ত  সমাজ বিনির্মাণে ন্যায় প্রতিষ্ঠা এবং বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদি কন্ঠস্বর। আর তাইতো প্রতিটি নেতাকর্মী তাকে ভাবেন আপন ভাইয়ের থেকেও বেশি ।
শাহে আলম মুরাদ এর 

তুমুল জনপ্রিয়তার কারণ জানতে চাওয়া হয়েছিলো কয়েকজন  কর্মীর কাছে। এর মধ্যে ২০  নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খায়রুজ্জামান ফারুক বলেন, মুরাদ ভাই কর্মীদের সমস্যায় পাশে দাঁড়ান নি:স্বার্থভাবে। মানবিক কাজে তিনি নিয়োজিত থাকেন সর্বদাই। তিনি একজন পরিশ্রমী ও কর্মীবান্ধব নেতা। আপোসহীন ও ফ্রেশ ইমেজের অধিকারী তিনি। কট্টরপন্থি আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান হিসেবে শেখ হাসিনার প্রতিটি আদেশ পালনে সচেষ্ট থাকেন সবসময়। তাই তিনি যতদিন বেঁচে থাকবেন, পদে না থাকলেও তিনি থাকবেন কর্মীদের হৃদয়ে।

তিনি আরো বলেন, নেতা হওয়া সহজ, কিন্তু জননেতা হওয়া সহজ নয়। মুরাদ ভাই প্রবলভাবে একজন সাংগঠনিক নেতা।





No comments:

Post a Comment