লিখেয়েছেন :- তানভীর হাসান নাবিল।
চাঁদপুর জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের অজ পাড়া গ্রামে সুজিত রায় নন্দী জন্মগ্রহণ করেন । ছোট থেকেই আওয়ামী রাজনীতির প্রতি ছিল তার আলাদা টান, ছোটবেলায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে জড়িয়ে পড়েন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে, ধীরে-ধীরে চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আজ তিনি আওয়ামী রাজনীতিতে এক অনন্য দৃষ্টান্ত।
ছাত্রলীগের রাজনীতির পাঠ চুকিয়ে তিনি আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
১৯৬৮ সালে তিনি চাঁদপুর জেলার বালিয়া ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেন।
রাজনীতি শুরু করেন 198১সালের শেষের দিকে,১৯৮৪ নিজ ইউনিয়ন পরিষদের ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। এরপর ভর্তি হন প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত রাজনীতির প্রাণকেন্দ্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, ১৯৮৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ জগন্নাথ হল শাখার সদস্য নির্বাচিত হন, ১৯৮৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৮৯-৯০ সেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জগন্নাথ হল সংসদের এজিএস ও পরবর্তীতে জিএস নির্বাচিত হন। ১৯৯২ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সম্পাদক ও ১৯৯৪ সালে কেন্দ্রীয় কমিটির শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন। নব্বইয়ের স্বৈরাচার আন্দোলনে তিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, হয়েছেন জেল-জুলুম ও নানা নির্যাতনের শিকার, তবুও থেমে থাকেননি বর্ণাঢ্য এই রাজনীতিবিদ, ছাত্রলীগের রাজনীতির সকল পাঠ চুকিয়ে, আজ তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
1998 সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।
2001 সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের কাউন্সিলের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
এরপর আস্তে আস্তে ধীরে ধীরে শুরু করেন মূল দলের রাজনীতি, আস্তে আস্তে মূল দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে যান।
2003 সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক নির্বাচিত হোন।
2009 সালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন।
দুঃসময় অনেকে যেখানে দলের সাথে পল্টি নিয়েছিলেন জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে পল্টি নিয়েছিলেন কিন্তু সুজিত রায় নন্দী ছিলেন সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম,
১/১১ তে তিনি রাজপথের সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, হয়েছেন বিভিন্ন নির্যাতনের শিকার, তবুও নিজ রাজনৈতিক প্রজ্ঞা থেকে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে একপা বিচলিত হননি।
রাজপথে দুর্দান্ত নেতৃত্বে পুরস্কারস্বরূপ 2012 সালে আবার বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন।
আওয়ামী লীগের 20 তম সম্মেলনে আবার তিনি ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পান।জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা বঙ্গবন্ধুর প্রতি ভালোবাসার পুরুষ্কার হিসেবে জননেত্রী শেখ হাসিনা তাকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির এই দায়িত্বটি অর্পণ করেন।
সুজিত রায় নন্দী শুধু একজন রাজনীতিবিদ না রাজনীতির পাশাপাশি সামাজিক অন্যান্য কার্যক্রমে তার উপস্থিতি ব্যাপক। নিজের এলাকার মানুষের কাছে তিনি দাদা হিসেবে পরিচিত।
আজ পর্যন্ত কোনো মানুষকে তিনি খালি হাতে ফিরিয়ে দেননি, যখন কেউ তার কাছে কোনো সাহায্যের আবেদন নিয়ে গিয়েছেন জননেত্রী শেখ হাসিনার এই সৈনিক তার নিজ সাধ্যের মধ্যে তা পূরণ করে দিয়েছেন।
প্রচারবিমুখ এই নেতা কখনো তার প্রচার করেননি, সবসময় পর্দার অন্তরালে থেকে করেছেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের চর্চা।
সবসব সময় প্রচার থেকে নিজেকে গুটিয়ে রেখেছেন, অনেক নেতা যেখানে নিজেকে প্রচারে ব্যস্ত তিনি তার ব্যতিক্রম, তিনি চুপচাপ বঙ্গবন্ধুর আদর্শ করার জন্য কাজ করে চলেছে চলেছেন দিনরাত।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তিনি।
জননেত্রী শেখ হাসিনার সিপাহসালার অন্যতম একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য সুজিত রায় নন্দী, দলের দুঃসময়ে যেভাবে নিজের সবটুকু উজাড় করে দিয়েছেন, দলের সুসময়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন অবিরত।
বাংলায় একটা প্রবাদ আছে,
নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান,
ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই।